এস এম তাজাম্মুল,মণিরামপুরঃ যশোরের মণিরামপুরের ১৭ ইউনিয়ন জুড়ে মাঠ থেকে বসতভিটা সংলগ্ন ছোট খাট পুকুর,বাদ পড়ছেনা ফসলী জমিও,সকল স্থান থেকেই মাটি বিক্রয় ও কেনার হিড়িক পড়েছে।

মাটি আনা নেওয়ার কাজে ব্যাবহারিত অবৈদ ট্রলির চলাচলে ভেংগে যাচ্ছে রাস্তা,তৈরি হচ্ছে গর্ত,আবার পিচের উপর মাটি পড়েও তৈরি হচ্ছে আরেক মৃত্যু ফাঁদ।এ সমস্ত গাড়ির কোন রাস্তার অনুমতি না থাকলেও তাদের চলাচলের জন্য অতিষ্ঠ এলাকবাসিরা।মাটি নেওয়ার গাড়ি থেকে রাস্তায় মাটি পড়াতে সামান্য বৃষ্টি হলেই তৈরি হচ্ছে কাঁদা, তাতেই সাইকেল,মোটরসাইকেল পড়ছে দূর্ঘটনায়।যে কোন মূহুর্তে ঘটতে পারে বড় যেকোন দূর্ঘটনা।

ভূমি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফসলি জমির মাটি বিক্রির মহোৎসবে মেতেছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনে করছেন কৃষিসংশ্লিষ্ট সচেতন মহল।

উল্লেখ্য, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর ধারা ৫-এর ১ উপধারা অনুযায়ী, পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। ধারা ৪-এর (খ) অনুযায়ী, সেতু, কালভার্ট, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ। আইন অমান্যকারী দুই বছরের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
বলা বাহুল্য, এসব আইনের কোনো প্রয়োগ নেই। আর আইন ভঙ্গকারী যদি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হন, তাহলে তো আইন প্রয়োগের কোনো প্রশ্নই নেই।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উর্ধতনমহলকে ম্যানেজ করে সারা বছরই এসব মাটিখেগোরা তাদের অবৈধ মাটি বিক্রির ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মাটিখেগোদের উৎপীড়নে দিশাহারা হয়ে উঠেছে ফসলি জমির মালিক ও কৃষি শ্রমিকরা।

অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে অনেকেই মাষ চাষের প্রলোভনে পড়ে বিক্রি করছে মালিকানা জমির মাটি। একজন বিক্রি করছে আর বিপদ পড়ছে একাধিক প্রতিবেশীদের বসতভিটা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মণিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের কাঠালতলা বাজার থেকে লাউড়ী রাস্তার পার্শ্ববর্তী আধা কিলোমিটারের ভিতরে ফসলী জমি ও বসতভিটা সহ ৭-৮টি জায়গা থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে অবৈধ যান ট্রলির মাধ্যমে স্থানীয় বিভিন্ন ভাটায় বিক্রি করছে একটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট।
ভুক্তভোগী লাউড়ী গ্রামের শেখপাড়ার বাসিন্দা মৃত আজিজ শেখের ছেলে রেজুয়ান বলেন,আমার বাড়ির পাশেই দ্বীন মোহাম্মদ ও লতিফ শেখের ছোট একটি খানা থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে মাঝ লাউড়ী গ্রামের জৈনক আনিচুর রহমান।এতে করে আমার বসতভিটা যে কোন সময় ধ্বংসে পড়তে পারে।মাটি বহনের ট্রলি চলাতে আমাদের রাস্তারও বেহালদশা হয়ে পড়েছে,ছোট ছোট শিশুরা রাস্তা দিয়ে চলাচল করতেও পারছেনা ট্রলির জন্য।এটা বন্ধের জন্য আমরা আপনাদের(গনমাধ্যমকর্মী) মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ ও হস্তক্ষেপ কামনা করছি।